রিলস তৈরিতে স্ত্রীকে বাধা, স্বামীর লাশ উদ্ধার ! Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




রিলস তৈরিতে স্ত্রীকে বাধা, স্বামীর লাশ উদ্ধার !

রিলস তৈরিতে স্ত্রীকে বাধা, স্বামীর লাশ উদ্ধার !




আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিয়ের পর কেটে গেছে ছয় বছর। সংসারে আছে পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তানও। কিন্তু, বাধ সাধলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে রিলস তৈরির নেশা। আর এর জেরেই মর্মান্তিক পরিণতি হলো এক যুবকের।

তাকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যের বেগুসরাই জেলার ফাফাউত গ্রামে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রীর ইনস্টাগ্রাম রিলস তৈরি করার বিষয়ে আপত্তি জানানোর পর বিহারের বেগুসরাইয়ে এক ব্যক্তিকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম মহেশ্বর কুমার রায়। ছয় বছর আগে তিনি রানী কুমারীকে বিয়ে করেন এবং তাদের পাঁচ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

এনডিটিভি বলছে, গত রোববার রাতে বিহারের বেগুসরাইয়ের ফাফাউত গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ২৫ বছর বয়সী মহেশ্বর কুমার কলকাতায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন এবং সম্প্রতি তিনি তার বাড়িতে ফিরে যান।

তবে বাড়িতে ফিরে তার স্ত্রীকে রিল তৈরিতে মগ্ন থাকতে দেখে তিনি আপত্তি করেন এবং এর জেরে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্ত রানী কুমারীর ইনস্টাগ্রামে সাড়ে ৯ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে এবং তিনি তার হ্যান্ডেলে এখন পর্যন্ত ৫০০টিরও বেশি রিল পোস্ট করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গত রোববার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন মহেশ্বর। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার ভাই রুদাল তাকে ফোন করেন। কিন্তু মহেশ্বরের বদলে ফোন রিসিভ করেন অপর এক ব্যক্তি। তার সঙ্গে ওই ব্যক্তির কথা কাটাকাটিও হয়।

এরপর, নিজেদের বাড়িতে ফোন করে মহেশ্বরের খোঁজ নেই বলে জানান রুদাল। সেই খবর পেয়ে, মহেশ্বরের পরিবারের লোকজন রাতেই তার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছান।

তার বাবা জানিয়েছেন, তারা সেখানে গিয়ে মহেশ্বর রায়কে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সেসময় তার শ্বশুরবাড়ির কেউ বাড়িতে ছিল না। স্ত্রীকে রিলস তৈরিতে বাধা দেওয়ার কারণেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মহেশ্বরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন মহেশ্বরের বাবা।

তার দাবি, ঘটনাস্থলে চার ব্যক্তি উপস্থিত ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অজুহাতে তারা মহেশ্বরের মরদেহ গায়েব করার চেষ্টা করছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। কিন্তু তাদের আসতে দেখে ওই চারজন পালিয়ে যায়।

পরে মহেশ্বরের বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। মহেশ্বরের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এদিকে নিহতের স্ত্রী রানী কুমারী বা তার বাড়ির কারও এখনও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের খোঁজে রানীর আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD